মুশতাকের কুমির খামারেও পিকে হালদারের ঋণের বোঝা, রপ্তানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেড় যুগের ব্যবধানে বিশ্ব বাজারে জায়গা করেছে বাংলাদেশের কুমিরের চামড়া। নাম কুড়ায় ময়মনসিংহের রেপটাইলস ফার্ম। কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাকের সেই কুমিরের খামার এখন পি কে হালদারেরর ঋণের বোঝায় জর্জরিত। শুধু রপ্তানি বন্ধই না, ঋণের জাঁতাকলে পিষ্ট খামার আজ হুমকির মুখে।

যোগ্য কর্ণধর না পেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সম্ভাবনাময় এই খামার।  

মধ্য দুপর। শ্যাওলা রঙা পানিতে ভাসছে কুমিরগুলো। ঝোঁপ-ঝাড়ে ঢেকে যাওয়া পুকুরে আগের মতো যত্নে নেই প্রাণীগুলো।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক হয়ে কারাগারেই মারা গেছেন এই খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা; লেখক মুশতাক আহমেদ। তার হাতে গড়া ‍রেপটাইলস ফার্মটি এখন পি কে হালদারের ঋণের বোঝায় জর্জরিত।

বাংলাদেশ থেকে কুমির রপ্তাতির স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিলো ময়মনসিংহের ভালুকার এই খামার থেকেই। মেসবাহুল হক ছিলেন চেয়ারম্যান, আর লেখক মুশতাক ছিলেন এমডি।

মুশতাকের দুর্দিনে ২০১২ সালে খামারটি নিয়ন্ত্রণে নেন পি কে হালদার। মালিকানায় আসে পরিবর্তন। সেই  সাথে বছর খানেকের মধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে খামারটিকে হুমকির মুখে ফেলে দেন বিতর্কিত পি কে হালদার।

জং ধরা লোহার গেট। নিস্তব্ধ মেঠো পথ। দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকা প্রাণীগুলো কেবল খাবার পেলেই জেঁগে ওঠে।

তবে জেঁগে ওঠে না খামার। মালিক পি কে হালদার পালিয়েছে , ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব সোমেরও হদিস নেই। অযত্ন অবহেলায় বন্ধ কুমিরের চামড়া রপ্তানি। যদিও ফার্মটির কেয়ারটেকার বলছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণেই এই অবস্থা।


হাইকোর্টে ১০ বছরের সাজা বহাল হাজি সেলিমের

মামুনুলকে দাওয়াত দিলেন নিক্সন, বললেন বাড়িতে এলে ধন্য হবো

করোনায় দেশে আরও ১৩ জনের মৃত্যু

ভাড়া দিতে না পারায় বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়: র‌্যাব


দেশের সম্ভাবনাময় এই খাতের স্বার্থে খামারটি বাঁচাতে দরকার এখন যোগ্য কর্ণধর-বলছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

বর্তমানে কুমিরের এই খামারটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ‍দুই হাজার ৮’শরও বেশি কুমির আছে। এরমধ্যে ১২০টি প্রজননক্ষম কুমিরও আছে। যাত্রা শুরুর পর পাঁচ বার বিদেশে গেছে এই খামারের চাঁমড়া। আয় হয়েছে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা।

news24bd.tv নাজিম

সম্পর্কিত খবর