শিশু সামিউল হত্যা: মা ও পরকীয়া প্রেমিক বাক্কুরের মৃত্যুদণ্ড

শিশু সামিউল হত্যা: মা ও পরকীয়া প্রেমিক বাক্কুরের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার দুই আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারক বেলা ১২টা ৩৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। বেলা ১২টা ৫৮ মিনিটে বিচারক দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায়ের দিন পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেন।

তার আগে গত ২৩ নভেম্বর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বর্তমানে মামলার দুই আসামি বাক্কু ও এশা পলাতক। এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন আসামি এশা জামিন নেন। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। পরে আদালত পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুন রাজধানীর আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একইদিন ওই এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় সামিউলের পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা এবং বাক্কু উভয়েই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আদালতে। এরপর জামিন নিয়ে আর আদালতে হাজির হননি দুই আসামি।  


ভাস্কর্য ভাঙার মূল পরিকল্পনাকারী যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার

যে কারণে বিয়ের কয়েক ঘন্টা পরেই বিচ্ছেদ!

এবার কে হবেন হেফাজত মহাসচিব! আলোচনায় মামুনুলও

দুর্গম পাহাড় থেকে যেভাবে উদ্ধার হল ৪ যুবক

রাস্তায় মা হলেন পাগলী, পুলিশের ফোনেও এলো না অ্যাম্বুলেন্স!


নিউজ টোয়েন্টিফোর / কামরুল