বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে চার শিশু ও তাদের অভিভাবকদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলেছেন আদালত।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই আদেশ দেন।
বেসরকারি একটি টেলিভিশনে আসা সংবাদ বিবেচনায় নিয়ে ৮ অক্টোবর রাতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। শিশুদের জামিন, মুক্তি ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর ৪ শিশু নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ৪ শিশুকে তাদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রোববার ওসি শিশুসহ তাদের অভিভাবকদের নিয়ে হাইকোর্টে উপস্থিত হন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও হাইকোর্টে হাজির হন।
শুনানি শেষে আদালত ওই শিশুদের মামলার কার্যক্রম স্থগিত, শিশু ও শিশুদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিচারককে হাইকোর্টে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ২২ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় ছয় বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওই শিশুটির খেলারসঙ্গী। ৪ অক্টোবর বিকেলে বাগানের মধ্যে খেলার সময় তাকে তিন আসামির সহযোগিতায় এক আসামি ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
news24bd.tv তৌহিদ