বেঁচে থাকার পরও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত বিচারিক আদালতের সব রেকর্ড ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিকে তিন আসামীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা।
ঘটনাটি আদালতের নজরে এনে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন হাইকোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। এবিষয়ে শুনানি নিয়ে আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর ‘দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে সব নথিপত্র পাঠাতে বলেন হাইকোর্ট।
এদিকে ওই কিশোরি বেঁচে থাকলেও তিন আসামি কেন ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন নারায়নগঞ্জ সিএমএম আদালত৷
এদিকে নারায়নগঞ্জে এক মানববন্ধনে তিন আসামীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায়ের ঘটনায় সদর থানার ওসি এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার শাস্তির দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।
গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী কিশোরি নিখোঁজ হলে এক মাস পর ৬ আগস্ট তারা বাবা অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল