পরকীয়ার প্রেমে পারিবারিক কলহের জের ধরে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলে সন্তানকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বামী হারুন ও তার কথিত প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোররাতে উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ মুসলিমা আক্তার শিখা মাদারগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ শেখের মেয়ে।
মাদারগঞ্জের গুনারিতলা ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামের বিএডিসির সাবেক মেকানিক্স মো. ফজলুল হকের ছেলে হারুন অর রশিদ পলাশ বেশ কিছুদিন বিদেশে ছিলেন।
পুলিশ বুধবার সকালে ওই বাড়ি থেকে নিহত মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন সকালেই জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। পরে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হারুন অর রশিদ পলাশ ও তার কথিত প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বটি, রক্তমাখা একটি লুঙ্গি, বিছানার চাদর ও মাছ ধরার জাল আলামত হিসেবে জব্দ করে।
নিহত মুসলিমা আক্তারের ছোট ভাই মো. খোকন মিয়া অভিযোগ করেন, মুসলিমার স্বামী হারুন অর রশিদ পলাশের পরকীয়া সম্পর্কের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে এবং এই হত্যায় শ্বশুর-শাশুড়িও জড়িত রয়েছে। এদিকে বুধবার বিকালেই নিহত মুসলিমা আক্তার ও শিশু তওহিদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার জানান, পরকীয়ার প্রেমের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আজ অভিযুক্ত পলাশ ও তার কথিত প্রেমিকা রোজিনাকে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করছি অভিযুক্তরা আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করবে। না হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)