সুপার সাইক্লোনে রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে দেড় হাজার পর্যটক। আটকা পড়া পর্যটকরা কিছুটা উৎকণ্ঠায় থাকলেও প্রশাসনের তদারকিতে নিরাপদ অবস্থানে করছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ কারণে শুক্রবার থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে চলাচল করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম দিকে ফিরতে না পেরে আটকা পড়া পর্যটকরা কিছুটা উৎকণ্ঠায় থাকলেও প্রশাসনের তদারকিতে তারা এখন সেখানে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনসহ, ইউনিয়ন পরিষদ, হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাদেরকে সার্বক্ষণিক সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আটকে পড়াদের ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের ব্যাপারে সব ধরনের তদারকি করা হচ্ছে। দ্বীপে অবস্থিত সব আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আটকা পড়া পর্যটকদের থাকা-খাওয়াতে সর্বোচ্চ আর্থিক ছাড় দিতে বলা হয়েছে।
দ্বীপের ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আটকা পড়া পর্যটকদেরকে আমার খাবার রেস্টুরেন্ট, এশিয়া বাংলা রেস্টুরেন্ট, কোরাল ভিউ রেস্টুরেন্টে খাবারের বিলে অর্ধেক দাম রাখা হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, আটকা পড়া পর্যটকরা খুব ভয় পেয়েছিল। সাগরের বুকে একটি দ্বীপ, তাই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে তারা ধারণা করেছিলেন। তবে আমরা তাদের বলেছি, অতীতের সব বড় বড় ঝড়-তুফানেও দ্বীপে একটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেনি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)