আইসিসিবিতে পর্দা নামল পর্যটন মেলার

সংগৃহীত ছবি

আইসিসিবিতে পর্দা নামল পর্যটন মেলার

অনলাইন ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২৪ এর সফল সমাপ্তি হয়েছে। শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত ছিল।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কুড়িল এলাকার ৩০০ ফিট রোডে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ পর্যটন মেলার উদ্বোধন করা হয়।

এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ছিল ‘খুলবে পর্যটনের দুয়ার এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার’।

মেলায় এক ছাদের নিচে পর্যটনের সব ধরনের তথ্য, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছিল বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান। মেলায় পর্যটকরা হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও বিমানভাড়ায় পেয়েছেন নানা ছাড়।

এই মেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পক্ষ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। সারা দেশের ৫২টি হোটেল-মোটেলে এই সুবিধা পাওয়া গেছে।

মেলায় আসা দর্শনার্থীরা জানান, পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে এ ধরনের মেলায় অনেক রকম ছাড় ও অফার থাকে। সে সুযোগ নিতেই তারা এখানে এসেছেন।

এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মালদ্বীপ, চায়না, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভুটান, সিঙ্গাপুরের প্রায় শতাধিক পর্যটন সংস্থা অংশ নিয়েছে। মেলায় ছিল আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশ-বিদেশে বেড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভ্রমণ অফার, হোটেল, রিসোর্ট বা প্যাকেজ বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাউ

মেলায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদ্বীপের ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। যারা দেশটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেলের তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করছেন। একইসঙ্গে সহজে কীভাবে মালদ্বীপে ভ্রমণ করা যায় সে ব্যাপারেও তথ্য দিচ্ছেন।

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইনস, এয়ারলাইনস, টার অপারেটর, থিমপার্কসহ বিনোদনের আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। মেলায় বৈচিত্র্যময় আয়োজনে ছিল পর্যটনবিষয়ক সেমিনার, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) মিটিং।

মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় চায়না, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেন মাধ্যমে পর্যটনশিল্পের পূর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের মধ্যে তুলে ধরা হয়।

মেলার মাধ্যমে দেশের স্থবির পর্যটন শিল্পের দ্বার উন্মোচন হয়েছে জানিয়ে পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ও এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, দেশের চলমান স্থবির অবস্থা থেকে মানুষকে পর্যটনে আকর্ষণ বাড়াতে পর্যটন খাতের জন্য এক নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে এ মেলার মাধ্যমে। এ ধরনের ফেয়ার দেশের পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পট সম্পর্কে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং পর্যটকদের আগমন বাড়বে। এ মেলাকে পর্যটন খাতের সবাই নতুন করে স্টার্ট-আপ হিসেবে দেখছেন। ৬০ জন বিদেশি আমাদের এ মেলায় অংশ নিয়েছেন। তারা আমাদের মেলা নিয়ে অনেক বেশি পজেটিভ। তারা যখন এ বার্তা তাদের দেশে গিয়ে দেবে, তখন সেটা আমাদের জন্য খুব বেশি অনুপ্রেরিত করবে। একইসঙ্গে বিদেশি পর্যটকদের আমাদের দেশে আসার জন্য আকৃষ্ট করবে। সামগ্রিকভাবে বললে এবারের মেলায় ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী এসেছেন।

পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে মেলার টাইটেল স্পন্সর ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এছাড়া ছিল প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি মালদ্বীপ, হোস্ট কান্ট্রি বাংলাদেশ, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। ব্যাংক পার্টনার হিসেবে ছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, রিসোর্ট পার্টনার ছুটি গ্রুপ, ট্রান্সপোর্ট পার্টনার কনভয় সার্ভিস, কানেকটিভিটি পার্টনার এডিএন টেলিকম ও ক্রুজ পার্টনার ঢাকা ডিনার ক্রুজ।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক