গত ৫ আগস্ট (সোমবার) সকালে পঞ্চগড় পৌর এলাকার দর্জীপাড়া গ্রামের ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক আল আমিন বাড়ি থেকে বের হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেয়। দুপুরে স্ত্রী সুমি আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয় তার। তবে এই কথাই ছিল তার শেষ কথা!
আল আমিন ওই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। পরিবারে মা-বাবা, স্ত্রী সহ তার চার বছরের সন্তান আফরিন আক্তার আশা মনি রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে গণঅভুত্থ্যানে নিহতদের পরিবারদের সাথে মতবিনিময়ের সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় সমন্বয়ক রকিব মাসুদ বলেন, আল আমিনকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অচিরেই আল আমিনকে খুঁজে বের করতে হবে। না হলে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব। পঞ্চগড় চেম্বার ভবনের মিলনায়তনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনের সময় নিহত পাঁচজনের মধ্যে আবু সায়েদ, সাগর এবং সাজু ইসলামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সমন্বয়ক রকিব মাসুদ, সহ সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য মিশু আলী সুহাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী রঞ্জু ইসলাম পরিবারদের কথা শোনেন। তারা শহীদদের রুহের মাগফেরাদ কামনা করেন।
news24bd.tv/তৌহিদ