এরশাদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুললেন সালমান শাহর মা

এরশাদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুললেন সালমান শাহর মা

অনলাইন ডেস্ক

বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। দেখতে দেখতে তার মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়েছে। এদিকে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন, এটি মানতে নারাজ তার মা নীলা চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক মৃত্যু হয় এ অভিনেতার।

এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের শুরু হয়। গতকাল (৬ সেপ্টেম্বর) ছিল তার মৃত্যু দিবস।

মারা যাওয়ার ২৮ বছরেও হয়নি তার মৃত্যুর রহস্যের সমাধান। হয়নি বিচারও।

আজও তার মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলে যাচ্ছেন।

সালমান শাহর মৃত্যুর পর তৈরি হয় নানা বিতর্ক। বিতর্ক ছিল চিত্রনায়কের মা নীলা চৌধুরীকে নিয়েও। কথা ওঠে, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে নীলা চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশের একটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে  মুখ খুলেছেন নীলা চৌধুরী।  

নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই হত্যার বিচার করা প্রয়োজন। ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানাভাবে অপমান করা হয়েছে আমাকে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে, এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। এরশাদ সাহেবের সঙ্গে মিলে আমিই নাকি খুন করেছি সালমান শাহকে। ’

এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে নীলা চৌধুরী বলেন, এরশাদ সাহেব জেল থেকে বের হওয়ার পর আমার বাসায় আসেন। কিন্তু আমি শুরুতে ওনাকে আমার বাসায় আসতে দিইনি। পরে উনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, তোমার ইমন যদি দরজায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকত তাহলে কি ফিরিয়ে দিতে? আমি তো জেল থেকে সালমান শাহর মৃত্যুর খবর পেলাম।  

তিনি বলেন, এরপর আমার স্বামী গিয়ে দরজা খুলে দিল। এভাবে আমাদের বাসায় ওনার আসা-যাওয়া শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, এরশাদ সাহেব আমার স্বামীকে ভাই ঢাকতেন। আমাকে তিনি তার মায়ের সঙ্গে তুলনা করতেন। আমার আচরণের সঙ্গে নাকি তিনি তার মায়ের মিল খুঁজে পান।

সালমান শাহর মা বলেন, প্রায় সব জায়গাতেই সালমান শাহর ভক্ত আছে। ডিজিএফআই, এনএসআইতেও আছে। ডিজিএফআই থেকে আমাদের একটা সময় বলা হলো, যদি এরশাদ সাহেব আপনাদের বাসায় যাতায়াত করে, তাহলে এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের আলাদা একটা নজর থাকবে আপনাদের ওপরে। এতে করে আপনাদের জীবনের ঝুঁকি কমে যাবে। ঠিক এ কারণেই এরশাদ সাহেব প্রায় আমাদের বাসায় আসতেন। আমার সঙ্গে তার কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু বিষয়টা ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

news24bd.tv/TR 

সম্পর্কিত খবর