পতিত স্বৈরাচারকে ১৭-১৮ বছর টিকিয়ে রেখেছিল ভারত: রিজভী

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

পতিত স্বৈরাচারকে ১৭-১৮ বছর টিকিয়ে রেখেছিল ভারত: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতিত সরকারকে ক্ষমা করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের সাথে বেইমানী। এমন কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, আন্দোলনে দানবীয় শক্তির পতন হয়েছে। এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে এসেছে বিএনপি।

ঐক্যের যারা ফাটল তৈরির চেষ্টা করবেন তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন। পতিত সরকারকে ক্ষমা করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের সাথে বেইমানী।

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

রিজভী বলেন, জাতীয় স্বার্থের বাইরে কাজ করার কারণেই ভারতের সমালোচনা করা হচ্ছে।

পতিত স্বৈরাচারকে ১৭-১৮ বছর টিকিয়ে রেখেছিল ভারত। দেশের স্বাধীনতা স্বর্বোভৌমত্বকে অবদমিত করে রেখেছিল ভারত।

তিনি বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে একদলে। পতিত স্বৈরাচারের সাথে আঁতাত করা মানে শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা।

শিক্ষা বিভাগ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ মতাদর্শের লোক বসানো হচ্ছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান রিজভী।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে যে নিঃশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তা বজায় রাখতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে রিজভী বলেন, চাকরি রক্ষার্থে শেখ হাসিনার কথায় গুন্ডাপান্ডা দিয়ে নির্বাচন করেছে এই কমিশন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে দায়ী ছিল এই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন।

‘নির্বাচনী কুকির্তীর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে ভুমিকা নেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ শাসনামলের সব কমিশনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিৎ’, বলেন রুহুল কবির রিজভী।

news24bd.tv/তৌহিদ