ত্রাণের টাকা খরচের হিসাব দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম

ত্রাণের টাকা খরচের হিসাব দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

অনলাইন ডেস্ক

ফেনী ও কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২২ আগস্ট থেকে গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ত্রাণ হিসেবে ছাত্ররা কত টাকা বা পণ্যসমাগ্রী পেয়েছে এবং কতটা ব্যয় করেছে সেই হিসাব দিয়েছে।

তারা জানায়, গত ২২ আগস্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ডাকসু ও সেন্ট্রাল ফিল্ডে গণত্রাণ কার্যক্রম চলমান।

প্রথমিকভাবে সংগৃহীত অর্থ, রসদ দিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। পরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় শুকনো খাবারের বদলে ভারী খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ২৮ তারিখ থেকে গণরান্না কর্মসূচি শুরু করি। যার মাধ্যমে আমরা আশ্রয়কেন্দ্র এবং দুর্গম অঞ্চলে চাল-ডালের প্যাকেজ পাঠাই।
আমাদের এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী দিন রাত পরিশ্রম করে।  

গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৯১টি ট্রাক বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়। আমরা বেসরকারি এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও দুর্গম অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ সহয়তা পাঠিয়েছি।  

গত ১৩ দিনে নগদ অর্থ, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকিং মাধ্যমে আমাদের মোট সংগ্রহ ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা।  

এই ১৩ দিনে গণত্রাণ এবং গণরান্না কর্মসূচি বাবদ খরচ: 

চিনি: ২৫,৭২, ৮০০ টাকা
চিড়া: ১৬, ৮৭,৪০০ টাকা
পানি: ১,৭৬,০০০ টাকা
কয়েল: ৫,৮৫,০০০ টাকা
কাটার: ১,৬২০ টাকা
ডাল: ১,৩০,০০০ টাকা
ড্রাই কেক: ২৪,৭২০ টাকা
ফিটকিরি এবং অন্যান্য: ১,০১,২৩০ টাকা
গণ রান্না প্রথম ব্যাচ: ৭,৫৮,৪২০ টাকা
সাবান, শ্যাম্পু, শিশুর খাদ্য এবং অন্যান্য:  ৯,৪০,৬৫৫ টাকা
ব্যাগ:  ৮০,৮৬০ টাকা
বস্তা, ক্যারারেট এবং মোমবাতি: ২,৮৩,৪৮০ টাকা
নগদ সহায়তা: ৮,৯৬,০০০ টাকা
চাল: ১,৩০,৫০০ টাকা
খাবার: ১২,১৩,০৩০ টাকা
গুড়: ১০,৪৯,৯২৮ টাকা
মুড়ি: ১৪,১১,৫০৪ টাকা
তেল: ৮৭,০০০ টাকা
পেঁয়াজ: ৫০,৬০২ টাকা
প্যাকেট বিস্কুট: ৩,৩৮,৮০০  টাকা
পলি: ২,৪৪,২৫৫ টাকা
বস্তা, দড়ি এবং স্টাশনারি: ৩,০৪,৭৮৪ টাকা
সুতলি ও স্টাশনারি: ৯,৭৫১ টাকা
খেজুর: ৩৯,২৯,৩১০ টাকা
শ্রমিক এবং স্টাশনারি: ৪৪,০০০ টাকা
টর্চ এবং লাইটার: ১,১২,০০০ টাকা
মেডিকেল ক্যাম্প: ১,৫০,০০০ টাকা
স্টাশনারি: ৬৪,৭৭০ টাকা
পরিবহন এবং শ্রম: ৭৭,৬০০ টাকা
হাতুড়ি, হ্যান্ড মাইক, আইডি কার্ড: ৩৯,৬২০ টাকা

মোট খরচ: ১,৭৫,১২,৭৯৪ টাকা

ফান্ডে বর্তমানে রয়েছে: ৯,৩৫,০০,৭৭৫ টাকা। তারা বলেন, এই টাকা আমাদের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানিত শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত জনতা এবং সোনালি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। আমাদের এই অর্থ আমরা আগামীতে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছি। এই অর্থ কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হলে সরোচ্চ মানুষের উপকার হবে, সে বিষয়ে স্থানীয় এবং বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পরামর্শ আহ্বান করছি। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এই অর্থগুলো ব্যবহার করা হবে।  

news24bd.tv/আইএএম