জাতিসংঘের নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদে (সিডও) বাংলাদেশ সই করার পর পার হয়েছে ৪০ বছর। কিন্তু সিডও স্বাক্ষরের চার দশকেও দুটি ধারা বাস্তবায়ন হয়নি। বাস্তবায়িত না হওয়া দুটি ধারায় বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে নারীকে সম-অধিকার দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।
১৯৮৪ সালে সিডও স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সরকার।
এই পরিস্থিতিতে আজ ৩ সেপ্টেম্বর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস।
নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদের ২ ধারায় সাতটি উপধারা রয়েছে। এতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নীতি প্রণয়ন, নারীর প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, নারীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে– এমন সব ফৌজদারি আইন ও বিধি বাতিল, উপযুক্ত আদালত বা ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উপযুক্ত ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। ১৬ (১) গ ধারায় বলা হয়েছে– বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান অবস্থা ও বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরষের একই অধিকার থাকবে।
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিডও নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপের কথা বলেছে। সরকার দুটি ধারায় আপত্তি বহাল রাখায় নারীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন এ ক্ষেত্রে একটি উদাহারণ হতে পারে। সংবিধানেও নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা রয়েছে, সিডও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া সেটারও পরিপন্থি। সমাজের মূলধারায় নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই রাষ্ট্রীয়, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আইনগত বৈষম্য দূর করতে হবে। ’
উল্লেখ্য, ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ইরান, সুদান ও সোমালিয়া ছাড়া সবাই সিডও অনুসমর্থন করেছে। ২৯টি রাষ্ট্র শর্ত-সংরক্ষণ ছাড়াই অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশ শর্ত সংরক্ষণ করে সিডও সনদ স্বাক্ষর করেছে।
news24bd.tv/এসএম