ছাত্রদের আন্দোলন চলার মধ্যে গণভবনে ১৪ দলের এক মিটিং ডেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। পরে দলটিকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেই প্রজ্ঞাপন আজ বুধবার বাতিল করে দলটিকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে চেয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সমাজের কিছু মহল থেকে বহু বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠত।
আওয়ামী লীগের এই প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে উল্লেখে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপিকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল, ওই ন্যারেটিভের (ভাষ্য) অংশ হিসেবেই জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে হঠাৎ ঘোষণায় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে চেয়েছে। সেই ন্যারেটিভের অংশ আমরা (বর্তমান সরকার) হতে পারি না। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ কোনো নীতিগত অবস্থান থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অপকৌশলের জন্য ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নির্মমভাবে দমন করার জন্য এ ইস্যুটি এভাবে ব্যবহার করেছে। আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত-প্রত্যাখ্যাত একটি দলের অন্যায় ন্যারেটিভের অংশ হতে পারি না। ’
এর আগে আজ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়। ’ এই প্রজ্ঞাপন জারির আগে আইন মন্ত্রণালয়ের আইনি মতামত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
news24bd.tv/আইএএম