দেশের সকল থানায় ‘নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি’, থাকবেন সমন্বয়করা

সংগৃহীত ছবি

দেশের সকল থানায় ‘নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি’, থাকবেন সমন্বয়করা

অনলাইন ডেস্ক

সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রতিটি থানার কার্যক্রম পুনরুদ্ধার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে ‘নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি’ গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সারা দেশের জেলা পুলিশ সুপার ও ওসিদের নির্দেশনা দিয়ে গতকাল শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিটির আকার কী হবে, তা স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোই এই কমিটির প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি একটি ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

আইন-শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য ও কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ টহলের মাধ্যমে হানাহানি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে কাজ করবে কমিটি।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, কমিটির কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি রূপরেখা সব ইউনিটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রূপরেখা অনুযায়ী এলাকায় বিদ্যমান সামাজিক সংঘাত, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিরসনে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় জনসাধারণের জীবন, সম্পদ, স্থাপনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়মিত তদারকি কাজ করবে কমিটি।

এলাকার মাদক, ইভ টিজিং ইত্যাদি সমস্যা নিরসনে স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন, রাজনৈতিক দলগুলো ও দল-উপদলের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসন ও সম্প্রীতি স্থাপনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কারা এই কমিটির সদস্য হবেন, তা-ও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

গ্রহণযোগ্য আইনজীবী, বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, সিনিয়র সিটিজেন, সর্বজন সমাদৃত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, নারী অধিকারকর্মী এবং এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গেলে দেশের থানায় থানায় হামলা চালানো হয়। এতে বহুসংখ্যক পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানা ছেড়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। পরে অরক্ষিত থানার নিরাপত্তায় সেনা সদস্য ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্থানীয় থানাকেন্দ্রিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে নাগরিক কমিটি গঠনের নির্দেশনা এলো।

news24bd.tv/DHL