হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু জাহির এমপি ও সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানের বহুতল বাসভবনে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। টানা দুদিন ধরে উত্তেজিত লোকজন যে যার মতো করে বাসাগুলো থেকে জিনিসপত্র লুটে নিচ্ছে। দেওয়া হয়েছে আগুনও। প্রভাবশালী এই দুই নেতার বাসায় দ্বিতীয় দিনের মতো লুটপাট শেষে সোমবার রাতে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের বাসায়ও লুটপাট চালানো হয়।
জানা যায়, গত রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘাত হলে এমপি আবু জাহিরের বাসভবন লুটপাট করে উত্তেজিত লোকজন। সোমবার দিনভর তার বাসার পাশেই অবস্থিত সাবেক এমপি মজিদ খানের বাসাও লুটে নেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাউন হল রোডস্থ সাবেক ও বর্তমান এমপির বহুতল বাসভবন থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, গাড়ির যন্ত্রাংশ, কাপড় চোপড়, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার, নানারকম আসবাবপত্র, গৃহপালিত পশুপাখি, ছাদ বাগানের গাছ, দরজা, জানালা, গ্রিল হাতে হাতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন লোকজন।
এদিকে, সোমবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের বাসভবনে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, লুটতরাজকারী লোকজন শহরতলীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন। গণলুটপাটের পর বাসাগুলোতে অবশিষ্ট বলতে কিছু থাকছে না। সাবেক এমপি মজিদ খানের বাসার ভাড়াটিয়ারাও লুটপাটের শিকার হয়েছেন। এভাবে সরকারি দলীয় নেতাদের বাড়িতে আক্রমণের ফলে জেলাজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার বাসা বাড়ি থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করছেন।
news24bd.tv/কেআই