জমির বিরোধে ৫ জনকে পিটিয়ে জখম, বাড়িঘর ভাঙচুর

সংগৃহীত ছবি

জমির বিরোধে ৫ জনকে পিটিয়ে জখম, বাড়িঘর ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক

পাবনার ফরিদপুরে পূর্ববিরোধের জেরে চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহতদের চিকিৎসা দিতে আসা পল্লী চিকিৎসককেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এছাড়াও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।

এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পুঙ্গলি ইউনিয়নের দত্তপুঙ্গলি উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, দত্তপুঙ্গলি গ্রামের মহসিন সরকারের ছেলে মনিরুজ্জামান ও পলাশ সরকার, ভাতিজা শান্ত সরকার এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অরুণা খাতুন। আহত পল্লী চিকিৎসক হেলাল প্রামানিক পাশের পাঁচপাঙ্গুলী গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তাদের ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দত্তপুঙ্গলি গ্রামের মহসিন সরকার ও প্রতিবেশী আনিছুর রহমানের বিরোধ চলছিল। সোমবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনায় তাদের লোকজনদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। এ সময় আনিছ ও তার লোকজন মহসিন সরকারের বাড়িতে হামলা করে। এতে বাধা দিলে মহসিন সরকারের ছেলে মনিরুজ্জামান ও পলাশ সরকার, ভাতিজা শান্ত সরকার এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অরুণা খাতুনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

এছাড়াও মহসিন সরকার ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আসা পল্লীচিকিৎসক হেলাল প্রামানিককেও পিটিয়ে আহত করে তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না করায় এ ঘটনার জন্য পুঙ্গলি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম তালুকদার সুমনকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে দায়ী করেছেন একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন।

তবে সাজেদুল ইসলাম তালুকদার সুমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সার্কেল স্যার, র‌্যাব ও থানা থেকে আমাকে ও সাবেক দুই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শালিশ করে সমাধান করার জন্য। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল সরকার হজের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আমার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মিথ্যা। ’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা হামলা করিনি, তারাই আমাদের ওপর হামলা করেছে। তাদের লোকজন মিথ্যা ব্যান্ডিজ-টেন্ডিজ করে এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ’

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পেয়ারা ও চুলা ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জমি নিয়ে বিরোধ আছে তাদের মধ্যে। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক