ভারতে কমলা হ্যারিসকে নিজেদের দাবি করলো নানাবাড়ির বাসিন্দারা  

ভারতে কমলা হ্যারিসকে নিজেদের দাবি করলো নানাবাড়ির বাসিন্দারা  

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের চেন্নাই থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট এক গ্রাম থুলাসেনধ্রাপুরাম। যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই গ্রামটির নাম। এখানেই ছিল কমলা হ্যারিসের নানাবাড়ি।

গ্রামটির কেন্দ্রে এখন সগৌরবে শোভা পাচ্ছে ৫৯ বছর বয়স্ক কমলা হ্যারিসের ব্যানার।

তাঁর জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছে গ্রামের মানুষ। এসব তথ্য জানা যায় ২৪ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।  

জো বাইডেনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো এবং সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে  মনোনয়ন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রামের বাসিন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির এমন একটি অবস্থানে পৌঁছা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়, কমলা হ্যারিসের জন্য আমরা গর্বিত।

একসময় ভারতীয়দের শাসন করেছে বিদেশিরা। এখন ভারতীয়রা ক্ষমতাধর দেশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে।  

বিশেষ করে গ্রামের নারীদের মধ্যে এটি গর্বের অনুভূতি তৈরি করেছে। তাঁরা কমলা হ্যারিসকে নিজেদের একজন ভাবছেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অরুলমোঝি সুধাকর বলেন গ্রামের সবাই তাঁকে চেনে। এমনকি শিশুরাও। তারা কেউ কেউ হ্যারিসকে  নিজেদের মা বা বোন বলে পরিচয় দিচ্ছেন। আমরা খুশি যে তিনি তাঁর শিকড়কে ভোলেননি। আমরা আমাদের আনন্দ প্রকাশ করছি।

গ্রামবাসীর এই উত্তেজনা মনে করিয়ে দিচ্ছে, কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কীভাবে গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে পোস্টার এবং আতশবাজির মাধ্যমে তাদের আনন্দ প্রকাশ করেছিল।  

কমলা হ্যারিসের মা শ্যামালা ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে বেড়ে ওঠেন। তাঁর মা-বাবার বাড়ি ছিল থুলাসেনধ্রাপুরাম গ্রামে।

গত বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কমলা হ্যারিস জানান, আমার মা ১৯ বছর বয়সে একা ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি ছিলেন একাধারে একজন বিজ্ঞানী, গণ-অধিকার কর্মী এবং তিনি এমন একজন মা, যিনি দুই মেয়ের মধ্যে তাঁর জন্য গর্বের জন্ম দিতে পেরেছেন।

থুলাসেনধ্রাপুরাম এর গ্রামবাসীরা এখন  চূড়ান্তভাবে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণার প্রতীক্ষা করছেন।

মন্দিরের পুরোহিত নটরাজন বলেন, কমলার মায়ের ছোট বোন সরলা এই মন্দিরে নিয়মিত আসতেন। ২০১৪ সালে কমলা হ্যারিসের পক্ষ থেকে মন্দিরে ৫ হাজার রুপি দান করেন তিনি। তার বিশ্বাস, তাঁদের প্রার্থনা কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনে জিততে সাহায্য করবে।

গ্রামবাসী বলেন, হাজার মাইল দূরে থেকেও কমলার এই ভ্রমণে নিজেরাও আছেন বলে ভাবছেন। তাদের আশা কমলা হ্যারিস একদিন তাদের দেখতে আসবেন।

news24bd.tv/কেআই/ আইএইচ