বড়দের চেয়ে শিশুরা হাঁপানিতে কষ্ট পায় বেশি। এই শীতে হাঁপানির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা মাত্র ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলেই তা আর শিশুর সংবেদনশীল শ্বাসতন্ত্র সহ্য করতে পারে না।
তখনই শুরু হয় কাশি, শ্বাসকষ্ট আর বাঁশির মতো শোঁ-শোঁ শব্দ।
সহজ ভাষায় বলা যায়, শ্বাসনালির অতি সংবেদনশীলতাই হাঁপানি বা অ্যাজমার জন্য দায়ী।
এ সময় যখন স্বাভাবিক শিশুরা দিব্যি ঠান্ডার মধ্যে খেলতে পারে, ধুলাবালুতে গড়াগড়ি খেতে পারে বা যা ইচ্ছে খেতে পারে, হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুরা সংবেদনশীলতার কারণে তেমনটি করলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।
চিকিৎসা
Vaseline Lotionহাঁপানি মানেই সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকা নয়। তবে অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। শিশুর সামনে ধূমপান করা যাবে না। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আঁশযুক্ত কার্পেটের পরিবর্তে সিনথেটিক কার্পেট ব্যবহার করুন।
শিশুর বিছানায় লোমযুক্ত চাদর, কাঁথা, লেপ বা কম্বল ব্যবহার করবেন না। শিশুকে আঁশযুক্ত খেলনা, বল বা পুতুল দেওয়া যাবে না। কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেটি তাকে দেওয়া যাবে না।
হাঁপানির চিকিৎসা হিসেবে ইনহেলার ও ওষুধ দেওয়া হয়। ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহারে শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকে মনে করেন, একবার ইনহেলার নিলে ওটার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। ইনহেলার বরং মুখে খাওয়া ওষুধের চেয়ে নিরাপদ।
NEWS24▐ Kamrul