ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন সড়কে আর্বজনার স্তুপ

সংগৃহীত ছবি

ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন সড়কে আর্বজনার স্তুপ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে প্রতিদিন ফেলা হয় শহরের ময়লা আবর্জনা। দীর্ঘদিন ধরে এসব সড়কের পাশে ময়লা ফেলায় জমে উঠেছে বিশাল স্তুপ। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। এদিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন এভাবে ময়লা ফেলার কারণে বাড়ছে রোগ জীবাণু।

ঝুঁকির মাঝেই চলছে বসবাস। তবে পৌর কতৃপক্ষ বলছে ময়লা অপসারণে কাজ শুরু করা হয়েছে।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও শহরে বর্জ্য ফেলার কোন নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে ময়লা। ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত বিভিন্ন সড়কগুলো।

নাকে কাপড় চেপে লোকজন ওই স্থান পার হচ্ছেন। পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এ রকম ময়লা-আবর্জনার বেশ কিছু স্তুপ রয়েছে। দুর্গন্ধে যেন শহরবাসীর পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে। শুধু সড়ক নয় পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ময়লা আবর্জনা ফেলায় দূষিত হয়ে পড়েছে সড়কগুলো। দুর্গন্ধে এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা যেন কঠিন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে।

স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সময়ে এই সমস্যাগুলো সমাধান করে পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গঠন করার। এদিকে জেলার স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে হুমকির মুখে পড়বে পৌরবাসী। এদিকে পৌরসভার পক্ষ থেকে ময়লা অপসারণে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পৌর কতৃপক্ষ।

শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে পরিমান দূর্গন্ধ বলার বাহিরে। পৌরসভা থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত ময়লা এই সড়কের উপরেই রাখা হয়।

টার্মিনাল এলাকায় পথচারী সেলিম রেজা বলেন, এই মহাসড়কের পাশে এভাবে ময়লা ফেলে রাখা হচ্ছে এটার ফলে তো পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে তো আরো বেশি বাজে অবস্থা। এর ফলে নানান অসুখ হতে পারে। পৌর কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে দ্রুত সময়ে এগুলো অপসারণ করে একটি নির্দিষ্ঠ স্থানে ফেলা হয়।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা.নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, সড়কের উপর এভাবে ময়লা ফেলার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। এভাবে যদি ময়লা ফেলা হয় সেগুলো থেকে পশু পাখিসহ মানুষের দেহে মারাত্ত্বক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে জলাতঙ্ক, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তাই এগুলো কোন নির্দিষ্ট স্থানে রাখা প্রয়োজন।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, পৌরসভার ময়লা ফেলানোর একটি নির্দিষ্ট স্থান ছিলো। সেখানে জায়গা ভরাট হয়ে যাবার কারণে আর আশ পাশে বাসা-বাড়ি হওয়ার কারণে এখন সেখানে স্থানীয়রা কিছু করতে দিচ্ছেনা। আমাদের স্টাফদের মারপিট পর্যন্ত করা হয়েছিলো। আমরা চেষ্টা করছি শহরের দূরে অন্য কোথাও কোন জায়গা খুজার। জায়গা পেলে সমস্ত ময়লা অপসারণ করা হবে।

news24bd.tv/DHL