প্রাচ্যর অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম জন্মদিন আজ। ১৯২১ সালের ১ জুলাই পূর্ববঙ্গের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বঙ্গভঙ্গের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দীর্ঘ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রাচীনতম এ বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।
১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়। বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলায় শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি ঘটে।
সেসময়ে অবিভক্ত বাংলায় ১৯টি ডিগ্রি কলেজ ছিল। তার মধ্যে পূর্ব বাংলায় ছিল ৯টি। তবে সেই সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল বলে মনে করেননি তখনকার পূর্ব বাংলার মানুষ।
তৎকালীন শিক্ষার সে জোয়ারের কারণে অচিরেই ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চাহিদা দেখা দেয়। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ১৯১২ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা সফরে আসেন। এই সফরকালে ঢাকার কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে তাদের ক্ষতির কথা জানান। এই ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে ঘোষণা দেন যে তিনি সরকারের কাছে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করবেন।
অবশেষে ১৯২১ সালের ১ জুলাই নাথান কমিশনের সুপারিশের আলোকে কার্যক্রম শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর ফলে পূর্ববাংলায় সেই কাঙ্ক্ষিত মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সৃষ্টি হয়। আজ ১ জুলাই (সোমবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩ বছর পূর্ণ করে ১০৪তম বছরে পা রেখেছে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছাত্র-শিক্ষকদের মিলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রয়েছে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন।
