পেরার ঝড় নিমেষে থামিয়ে দিলেন ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের দেয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে তৃতীয় জয় এনে দেন ভাইকিংসকে।
আজ দিনের দ্বিতীয় খেলায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চিটাগং ভাইকিংস।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল।
দুই নম্বরে ব্যাট করতে আসা এনামুল হক বিজয় ১০ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন আবু জায়েদের বলে। লিয়াম ডসন আর শাহীদ আফ্রিদি দুজনেই করেন সমান দুই রান।
১৩ ওভার দুই বলে যখন ৮৬ রানে নেই কুমিল্লার ৫ উইকেট, তখন দলের হাল ধরেন সাইফউদ্দিন আর থিসারা পেরেরা।
পেরেরা খেলেন আট ছয় আর তিন চারে মিলে ২৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। পেরেরার সঙ্গে জ্বলে উঠেন সাইফউদ্দিনও। তার ব্যাটে আসে ১৯ বলে ২৬ রান।
কুমিল্লার হয়ে খালেদ আহমেদ নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ফ্রাইলিঙ্ক ও আবু জায়েদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভাইকিংস ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ আর ক্যামেরুন দেলপোর্ট মিলে করেন সাবধানী সূচনা।
দুইজনের জুটি টিকে ছিল ৫ ওভার ২ বল পর্যন্ত, তাতে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ১৩ রান করে দেলপোর্টের বিদায়ের পর শাহাজাদ খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস।
এরপর ইয়াসির আলীর ৪ রানে থেমে যাওয়ার পরই শুরু হয় মুশফিকের ঝড়ো ইনিংস। ৪১ বলে চার ছয় আর সাত চারে খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস।
ভাইকিংস অধিনায়ক একাই দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের বন্দরে কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সাইফউদ্দিন।
দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় মুশফিককে ফিরিয়ে চিন্তায় ফেলে দেয়া চিটাগংকে উদ্ধার করেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক।
পাঁচ বলে ৯ রান করে ভাইকিংসকে এনে দেন তৃতীয় জয়। চার ম্যাচের তিনটিটে জিতে পেছনে ফেলেছেন পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে থাকা রংপুর রাইডার্সকে।
৭৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা নিজের করে নেন ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিক।
NEWS24▐ Kamrul