কোন শিশুরই অনাহারে মারা যাওয়া উচিত নয়: ইউনিসেফ

কোন শিশুরই অনাহারে মারা যাওয়া উচিত নয়: ইউনিসেফ

অনলাইন ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় বহু শিশু নিহত হয়েছে। এর মধ্যে যারা বেঁচে রয়েছে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর রুট বন্ধ ও ইসরায়েলের হামলা জোরদার করায় শিশুরা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এমন সতর্কবার্তা জানায় সংস্থাটি।

খবর আনাদুলু এজেন্সির।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যাথরিন রাসেল এক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘গাজায় ত্রাণ সরবরাহের পথ বন্ধ করা এবং রাফায় ইসরাইলের হামলা জোরদার করার পর এখানকার শিশুদের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। উত্তর গাজার একমাত্র শিশু হাসপাতালটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ’

তিনি বলেন, গাজার শিশুরা যারা ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বেঁচে আছে তাদের মধ্যে অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতা থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।

রাসেল জোর দিয়ে বলেন তীব্র অপুষ্টির ফলে ছোট ছোট বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক বড় কোন ক্ষতি হতে পারে। তিনি বলেন, কোন শিশুরই অনাহারে মারা যাওয়া উচিত নয়।

ইসরায়েল গত ৬ মে রাফাতে স্থল আক্রমণ শুরু করে। যেখানে দেড় লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি তেল আবিবের আক্রমণ থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছিল হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৮ লাখেরও বেশি মানুষ রাফা শহর ছেড়ে পালিয়েছে।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ পর্যন্ত তাদের হামলায় ৩৫,৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু এবং আহত ৮০,২০০ জন।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক