‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে অনেক অপকর্ম করেছি’ মন্তব্য করে শাস্তির মুখে আ. লীগ নেতা

বক্তব্য দিচ্ছেন একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া

‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে অনেক অপকর্ম করেছি’ মন্তব্য করে শাস্তির মুখে আ. লীগ নেতা

অনলাইন ডেস্ক

‘গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অনেক অপকর্ম করেছি’ মন্তব্য করে শাস্তির মুখে পড়ছেন মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া। বুধবার (১৫ মে) তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।  

কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আপনার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং তা সংগঠনের রীতিনীতি ও আদর্শ পরিপন্থী।

শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে প্রদত্ত আপনার বক্তব্য সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ অবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে কেন শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি-৫১ /এ, সড়ক-৩ /এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) প্রেরণের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

গত ২৯ এপ্রিল মিরসরাই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমানের কর্মী সভায় একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ৭ জানুয়ারি নির্বাচন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেলকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অনেক অপকর্ম করেছি উল্লেখ করে একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, ‘তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সুযোগ্য সন্তান মাহবুব উর রহমান রুহেলকে জেতাতে আমরা অনেক অপকর্ম করেছি।

আগামী ৮ তারিখ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো অপকর্ম ছাড়া ভোটকেন্দ্র খোলা রাখবো। ’

ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী বলেছেন আপনি ভোটকেন্দ্রে আসবেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। আমাদের কোন আপত্তি নাই। যদি কেউ ভোটকেন্দ্র বন্ধ করার পায়তারা করে, একজনে একাধিক ভোট দেয়ার চেষ্টা করে, আমরা ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে সেখানে বিক্ষোভ করবো। ’

তিনি বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতে আর কোনো অপকর্ম চাই না। ভোট নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আজ বিএনপি ভোটকেন্দ্রে যায় না, আওয়ামী লীগের লোকেরাও ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। শেখ হাসিনা সেজন্য চেষ্টা করেন মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেয়ার জন্য।

উপজেলার বড়তাকিয়া ইভা কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে কর্মী সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ আতাউর রহমান (ঘোড়া), প্রচার সম্পাদক প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আবু সুফিয়ান বিপ্লব, খইয়াছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কালু কুমার দে, এস.এম আবুল হোসেন, ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম।

news24bd.tv/aa