এবার অতিবৃষ্টি-ঝড় ও প্রলয়ংকরী বন্যার শঙ্কা

এবার অতিবৃষ্টি-ঝড় ও প্রলয়ংকরী বন্যার শঙ্কা

এবার অতিবৃষ্টি-ঝড় ও প্রলয়ংকরী বন্যার শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দেশে গরমের তীব্রতা বেশি। সব রেকর্ড ভেঙে এবার ৪৩ ডিগ্রি পার হয়েছে দেশে। এমন পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। কবে বৃষ্টি হবে সেই অপেক্ষায় সবাই।

তীব্র দাবদাহে বৃষ্টির জন্য অনেক জায়গাই নামাজ পড়তে দেখা গেছে। সবাই চায় তাপমাত্রা শীতল করে এক পশলা বৃষ্টি নামুক দেশজুড়ে। কিন্তু একটা পূর্বাভাস সম্পর্কে সবাই বেখবর। গরমের মতো এবার বৃষ্টির মৌসুমেও দুর্ভোগ পোহাতে হবে দেশের মানুষকে।

আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুকের বরাত দিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোতে এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। যার ফলে ভয়াবহ বন্যা এবং পাশাপাশি তীব্র ঝড়েরও আশঙ্কা রয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনো’ বর্তমানে বিরাজমান বলে জানিয়েছে জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ)। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে ‘লা নিনা’। ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম, আর ‘লা নিনা’র কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে।

দেশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব এলাকায় নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

বুধবার সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে আকস্মিক বন্যার হুমকি মোকাবিলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে। নেত্রকোণা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নদীগুলো দ্রুত প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানি প্রবাহ অতিক্রম করতে পারে।

সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে বাসিন্দারা বিডাব্লুডিবি বন্যা অ্যাপ এবং এফএফডব্লিউসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে www.fwc.gov.bd এবং www.ffwc.gov.bd/flashflood রিয়েল-টাইম আপডেট এবং বন্যার পূর্বাভাস ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য হটলাইন ১০৯০ (টোল-ফ্রি) এবং ০১৮৪১-০০২২৯৯ নম্বরে কল করতে পারেন।  

news24bd.tv/aa