“কেউ কি আসবে? আমাকে বাঁচাবে?”

হিন্দ রজব

হিন্দ রজবের শেষ আকুতি

“কেউ কি আসবে? আমাকে বাঁচাবে?”

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্তভাবে মানবিকতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলের বিরোধিতা করছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বিক্ষোভকারীদের  হাতে ফিলিস্তিনি ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখা গিয়েছে।

যে পোস্টারে হিন্দ রজবের শেষ কথাগুলো লেখা , “কেউ কি আসবে? আমাকে বাঁচাবে?”
এই হিন্দ রজব নামের শিশুটি যুদ্ধ চায়নি। যুদ্ধ থেকে কেউ তাকে সরিয়ে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখুক এই মিনতি করেছিল এই দুই কথায়। কিন্তু বাঁচতে পারেনি। মারা গেছে।
 
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা নেয় হিন্দ রজবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন হ্যামিল্টন হলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভবনের নতুন নাম দিয়েছে মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল)  ব্যানার টানিয়ে দিয়ে জানায়, এখন থেকে এই ভবনের নাম ‘হিন্দ’স হল’। সূত্র, হাফিংটন পোস্ট ও ব্লুমবার্গ।  
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে যে প্রায় ২০ হাজার শিশু মারা গিয়েছে তাদেরই একজন হিন্দ রজব। গত ২৯ জানুয়ারি ইসরায়েল সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তা শোনার পরই একটি গাড়িতে হিন্দের স্বজনরা যুদ্ধকবলিত এলাকা ত্যাগের জন্য রওনা হয়েছিল।
গাড়িতে মামা-মামী এবং চার মামাত ভাই-বোনের সঙ্গে হিন্দও ছিল। তবে সেই গাড়িটি পড়ে ইসরায়েলি গোলার মুখে। তাতে একজন বাদে হিন্দসহ বাকি সবাই মারা যায়। তাদের মৃত্যুর খবর জানা যায় ১২ দিন পর। আর মিডিয়ায় এটি নিউজ হতে  সময় চলে যায় আর ১৪ দিন।  
হিন্দের সঙ্গে গাড়িতে থাকা তার মামাত বোন লিয়ান হামাদা জানায়, একটি ট্যাংক থেকে তাদের গাড়িতে গোলা ছোড়া হয়েছিল।
আক্রান্ত হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ফোন করেছিলেন ১৫ বছর বয়সী লিয়ান। সে বলেছিল, “তারা আমাদের দিকে গোলা ছুড়ছে। একটি ট্যাংক দেখছি। ”
তখন রেড ক্রিসেন্ট হিন্দের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও টেপও প্রকাশ করেছিল। তাতে হিন্দকে বলতে শোনা যায়, “আমার ভীষণ ভয় লাগছে।  কেউ আসবে কি?” এরপরই সে মারা যায়।  

news24bd.tv/ডিডি