জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় পাট ব্যবসায়ীদের যতো ক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় পাট ব্যবসায়ীদের যতো ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা পরবর্তী ৫২ বছরে দেশের পাট ও পাটজাত রপ্তানী আয় কমেছে ৮৮ শতাংশ। এই খাতের উন্নয়নে ২০১০ সালে আইন করা হলেও ১৪ বছরেও তার শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি ২০২০ সালে পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেও প্রজ্ঞাপনটি আজও জারী হয়নি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন-বিজেএমএ এর ৪০তম বার্ষিক সাধারন সভায় উঠে আসে এসব তথ্য আর অভিযোগ।

পাট ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম অর্থবছর ১৯৭২-৭৩ সালে মোট রপ্তানীর ৯২ শতাংশ ছিলো পাট ও পাটজাত পণ্য। সোনালী আঁশের সোনালী সেই অতীত আজ সত্যিকার অর্থেই ধূসর। সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি আয় নিয়ে রপ্তানী দাড়িয়েছে মাত্র ৩ শতাংশে।

পাট খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, কাঁচা পাটের ওপর ২ শতাংশ উৎসে কর, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন শতভাগ বাস্তবায়ন না হওয়া, ভারত কর্তৃক রপ্তানীর ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং কর আরোপ, কৃষিজাত পণ্য ঘোষণার প্রজ্ঞাপন না হওয়া এবং রপ্তানীতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা না পাওয়া পাটখাতের প্রধান সমস্যাগুলোর অন্যতম।

এ সময় পাঁচ বছরেও নির্দিষ্ট পণ্য তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে না পৌছানোয় ক্ষোভ জানান বিজেএমএ চেয়ারম্যান।

সভায় জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাটজাত পণ্যের রপ্তানী হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা৷ যা ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।

news24bd.tv/ab