র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে (মুখপাত্র) দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। বুধবার (২৪ এপ্রিল) কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের জায়গাতে স্থলাভিষিক্ত হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন চৌকষ অফিসার ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌ বাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।তিনি গত ২০ জানুয়ারি- ২০২৩ তারিখ হতে ২৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এরইমধ্যে ২০০৭ হতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র্যাব-৪ ও র্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন (ইউএনআইএফআইএল) এবং সাউথ সুদানে (ইউএনএমআইএসএস) এ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি র্যাবে কর্মরত থাকাবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌ বাহিনী হতে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড হতে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌ প্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হন।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের উপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকষ অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেন।
news24bd.tv/aa