নাগোর্নো কারাবাখ ত্যাগ করছে রাশিয়ার শান্তিরক্ষীরা

আজারবাইজানের নাগোর্নো কারাবাখ অঞ্চল ত্যাগ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার সৈন্যরা।

নাগোর্নো কারাবাখ ত্যাগ করছে রাশিয়ার শান্তিরক্ষীরা

অনলাইন ডেস্ক

অনেক বছরের সামরিক উপস্থিতির পর অবশেষে আজারবাইজানের নাগোর্নো কারাবাখ অঞ্চল ত্যাগ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার সৈন্যরা। ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। তবে কবে নাগাদ সকল সৈন্যকে ফিরিয়ে নেয়া হবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। খবর রয়টার্সের।

ছয় সপ্তাহ ধরে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মাঝে যুদ্ধ চলার পর ২০২০ সালের নভেম্বরে এক চুক্তির আওতায় দক্ষিণ ককেশাসের এই অঞ্চলে ২ হাজার সৈন্য মোতায়েন করে রাশিয়া। সৈন্যদের উপস্থিতি সত্ত্বেও গত বছরের সেপ্টেম্বরে আজারবাইজান পুনরায় অঞ্চলটি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এবং সেখান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয়কে বিতাড়িত করে ও আর্মেনিয়ার প্রতি সহানূভুতিশীল রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে।

সে সময় রাশিয়া আর্মেনিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়, যা রাশিয়া প্রত্যাখান করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ান সৈন্যদের নাগোর্নোতে থাকার কথা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে আজারবাইজানের গণমাধ্যম প্রথম ধাপের রাশিয়ান সৈন্যদের নাগোর্নো কারাবাখ ত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভের বরাত দিয়ে আজেরটেক বার্তা সংস্থা জানায়, ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী আজারবাইজানের ভূখন্ডে অবস্থানকারী রাশিয়ান সৈন্যদের দ্রুত অপসারণের বিষয়ে রাশিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সম্মত হয়েছে।

রাশিয়া এমন সময়ে সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে যখন আর্মেনিয়া সরকার তাদের দেশের প্রধান বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ান সীমান্তরক্ষীদের সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে এবং পাশ্ববর্তী জর্জিয়ার জনগণ রাশিয়া সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনান তার দেশের সাথে রাশিয়ার ঐতিহাসিক জোটের বিষয়টিকে খোলাখুলি প্রশ্ন করছেন এবং পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

১ আগস্টের মধ্যে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানের বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার সীমান্তরক্ষীদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

পাহাড়ী উপত্যকা নাগোর্নো কারাবাখ নিয়ে সাবেক সোভিয়েন প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। অঞ্চলটিতে মূলত খ্রিস্টান আর্মেনীয়দের বসবাস হলেও ৪ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভূখন্ডটি মুসলিম অধ্যুষিত আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত।

নাগোর্নো কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে পরিচিত।

news24bd.tv/ab