বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দরপতনের মাঝেই প্রাকৃতিক এই সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে কাতার। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈশ্বিক গ্যাসের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপসাগরীয় দেশটি। খবর রয়টার্সের।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কাতার এনার্জির প্রধান সাদ আল কাবি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির উৎপাদন বাড়ানোর এই ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী বছরে ১৬ মিলিয়ন টন অধিক গ্যাস আহরণ করবে কাতার, যার ফলে দেশটির উৎপাদিত সর্বমোট গ্যাসের পরিমাণ হবে বছরে ১৪২ মিলিয়ন টন।ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো যখন প্রায় এক যুগ ধরে নিজেদের গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে যাওয়ার পর অবশেষে বিশ্ব বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাসের দরপতন হয়েছে। ইউরোপেও গ্যাসের দাম কমে গিয়েছে, এবং রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ার পর শূন্যস্থান দখল করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার।
সাদ আল কাবির মতে, এশিয়ার গ্যাসের বাজার আগামী দিনে বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে ইউরোপেরও প্রচুর গ্যাস লাগবে।
আরও পড়ুন: নিজেকে কালোদের সাথে তুলনা করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড়
কাতার কর্তৃক গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক গ্যাস উৎপাদন ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বৈশ্বিক গ্যাস রপ্তানিকারকদের মধ্যে কাতার হচ্ছে অন্যতম এবং ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কাতারের গ্যাসের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার পরেও যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চায়। তাদের যুক্তি হচ্ছে, আগামী কয়েক বছর গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং অদূর ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার সাশ্রয়ী হয়ে গেলে গ্যাসের চাহিদা কমে যেতে পারে।
কাতার কর্তৃক গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবারই সর্বশেষ নয়। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে গ্যাস উৎপাদনও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সাদ আল কাবি।
news24bd.tv/ab