বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি উচ্চ আদালত থেকে খালাস পেলেও পাঁচ বছর পর নির্বাচন করতে হবে। বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ মঙ্গলবার এক মামলার আদেশে হাইকোর্ট জানান, দুই বছরের বেশি সাজা প্রাপ্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজের রায়ে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেন।
বিএনপির যে পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ হয়েছে তারা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউলাহ আমান, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো. মশিউর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাব।
NEWS24▐ কামরুল