‘ধুলাবালি ওড়ানোর’ প্রকল্পে বাতাসে মিশছে বিষ

‘ধুলাবালি ওড়ানোর’ প্রকল্পে বাতাসে মিশছে বিষ

অনলাইন ডেস্ক

যেন টাকা খরচ করে রাস্তার ধুলাবালি ওড়ানোর প্রকল্প। বাতাসে মিশছে বিষ; দূষণের আঁধারে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। হুমকির মুখে পরিবেশ। গাজীপুরে পরিচ্ছন্নতার নামে সড়কে দুটি রোড সুইপার মেশিন নামানো হলেও মিলছে উল্টো ফল।

আধুনিক মেশিন আনার খবরে খুশি হলেও, এখন হতাশ নগরবাসী। যদিও এ জন্য যান্ত্রিক ত্রুটিকে দুষছে সিটি করপোরেশন।
 
দূর থেকে দেখলে প্রথমে মনে হতে পারে কোনো চুল্লি থেকে আকাশে উঠছে সাদা ধোঁয়া। কাছে যেতেই পাল্টে যাবে ধারণা।
যেন আয়োজন করে রাস্তার ধুলা ওড়ানো হচ্ছে। আর এই ধুলোবালিতে একাকার গাছপালাসহ আশপাশের ঘরবাড়ি দোকানপাট।

নগরবাসীকে ধুলাবালি থেকে মুক্ত রাখতে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে দুটি রোড সুইপার মেশিন দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর, মেশিন দুটি নামানো হলেও ফল মিলছে উল্টো।  

আধুনিক এই মেশিন দেখে খুশি হওয়ার কথা থাকলেও সড়কের ধুলাবালি মেশিনের মাধ্যমে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ায় হতাশ নগরবাসী।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম সফিউল আজম বলেন, দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি হতে পারে। দিন দিন যখন বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে, তখন নগরবাসীর এমন অদ্ভূত সেবাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন পরিবেশকর্মী সাঈদ চৌধুরী।  

প্রতি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ লিটার জ্বালানি খরচ করে ৩ কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার করতে সক্ষম এই মেশিন।  মেশিনটি এক টন ময়লা বহন করতে পারে। এছাড়া রাস্তায় পানি ছিটানোর জন্য রয়েছে ২০০ লিটারের একটি পানির ট্যাঙ্ক।

news24bd.tv/ইস্রাফিল

এই রকম আরও টপিক