বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীর রূপকারদের। দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার পরও তাদের দেখা হয়নি বাংলার বিজয়। সারা দেশ আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতির বুদ্ধিজীবীদের।
চট্টগ্রামে এমন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ১১৬টি বধ্যভূমি অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ৬১টি বধ্যভূমি থাকলেও বেশিরভাগ বধ্যভূমির নেই স্মৃতিচিহৃও। ৭১’এর সেই দিনের নির্মম হত্যার স্মৃতি মাথায় নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে কাঁদছে স্বজনরা।
একাত্তরে চট্টগ্রামের ১১৬টি জায়গায় শত শত বাঙালীদের ধরে এনে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই সময় জ্বলাতখানা নামে পরিচিত হালিশহরে প্রথম গণহত্যা চালায় হানাদাররা। একদিনেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ৩৯ জনকে। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাহাড়তলির বধ্যভূমিতে ট্রেন থেকে নামিয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয় ৫ হাজারের বেশি বাঙালিকে।
একইভাবে হত্যাযজ্ঞ চলে অন্যান্য বধ্যভূমিতেও। দীর্ঘদিন ধরে এসব বধ্যভূমিগুলো পড়ে আছে অযত্ন আর অবহেলায়। তবে এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানান জেলা প্রশাসক ও সিটি মেয়র।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় চট্টগ্রাম নগরীর ৬১টি বধ্যভূমির মাত্র তিনটিতে স্মৃতিচিহ্ন নির্মিত হচ্ছে। বাকি ৫৮টি বধ্যভূমিতে এখনো কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। যদিও জেলা প্রশাসক ও সিটি মেয়র বলছেন, এবার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে সংরক্ষণ হবে মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিচিহৃ।
news24bd.tv/আমিরুল