ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনায়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী কৌশলী ভূমিকায় রয়েছে। মিন্টু গ্রেপ্তারের পরপর তার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখা মেলেনি।
দেখা গেছে কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু মিন্টুর অনুসারী নেতাকর্মীদের। তারা অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে মিন্টুর কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আসছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনার হত্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু জড়িত থাকতে পারে এমন ঘটনা প্রথমদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে দলের বাইরে আলোচনা হলেও দলের সবাই গুজব বলে মনে করছিলেন। গ্যাস বাবু যখন গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশের কাছে বিষয়টি খোলাসা করেন। তখন আস্তে আস্তে সব জায়গায় কানাঘুষা শুরু হয়। সেসময় মিন্টুও আতংকিত হয়ে পড়ে। বাঁচতে গোপনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে ছুটে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঢাকায় ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। মিন্টু নিজে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে খুনের ঘটনার সাথে জড়িত আছে বলে স্বীকার করলেও মেনে নিতে পারছেন না তার অনুসারীরা। তারা মিন্টুর মুক্তির দাবীতে প্রতিদিন কোন না কোন কর্মসূচি রাখছেন।
অন্যদিকে অধিকাংশ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ইন্স্যুতে কোন কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। এমনকি মিন্টু মুক্তির আন্দোলনে জেলা নেতৃবৃন্দকে দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে মিন্টুর গ্রেপ্তার হওয়ার পর এমপি আনারের নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন মিন্টু অনুসারীরা। গ্রেপ্তারের আগে সব জায়গায় সরব উপস্থিত দেখা গেলেও গ্রেপ্তারের পর গা ঢাকা দিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এমপি আনার হত্যার ফাঁসির দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনেও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে মিন্টুর অনুসারীদের দেখা মেলেনি। এমনকি তারা সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলছেন। একরকম আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। অন্যদিকে মিন্টু গ্রেপ্তার হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে এখনি তোড়ঝোড় শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ব্যাপক লবিং শুরু করেছেন বলে চাউর হয়েছে। তাদের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
news24bd.tv/TR