বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্তির ৫১ বছর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্তির ৫১ বছর আজ। দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। গণতান্ত্রিক আদর্শকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য বঙ্গবন্ধু মুজিবকে দেয়া হয় এ পুরস্কার। শুধু বঙ্গবন্ধু নন, শেখ মুজিব ভূষিত হন 'বিশ্ববন্ধু' খেতাবেও।  

দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় নেতৃত্বে একাত্তরে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। যুদ্ধ পরবর্তী বিপর্যস্ত দেশ পুনর্গঠন, লাল-সবুজ পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে শেখ মুজিবের শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সততা, নিষ্ঠা, দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা, গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক আদর্শ দৃষ্টি কাড়ে পুরো বিশ্বের। শুধু দেশ নয়, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠাতেও বঙ্গবন্ধুর অবদান নজর কাড়ে বিশ্ব নেতাদের।  

১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে ১৪০ দেশের ২০০ জনের প্রতিনিধি সভায় সিদ্ধান্ত হয়- বাংলাদেশের জাতির পিতাকে দেয়া হবে জুলিও কুরি শান্তি পদক। বিশ্ব শান্তিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হবে এই পদক। ভারতের জওহরলাল নেহেরু, কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের হো চি মিন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিংসহ বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিরা পেয়েছেন এ পুরস্কার। এর ধারাবাহিকতায় '৭৩ সালের মে মাসে ঢাকায় বিশ্ব শান্তি পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু হাতে তুলে দেয়া হয় জুলিও কুরি পুরস্কার।

সেদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব হিসেবে। এই শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তি নব্য স্বাধীন দেশকে বিশ্ব সভায় এগিয়ে নেয়ার পথ আরো সহজ করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বিশ্ব মানচিত্রে।

news24bd.tv/aa