নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চুরি ঠেকাতে লিচুর গাছে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছেন এক গাছের মালিক। খোলা তারের ওই ফাঁদে জড়িয়ে যে কোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি শুধু ফাঁদই পাতেননি, সেখানে একটি সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছেন। আর তাতে লিখেছেন- ‘সাবধান! লিচুর গাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া আছে।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত পোর্টার আব্দুর রাজ্জাক এই ফাঁদ পেতেছেন। তার বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশিতে।
স্থানীয় সোনাপাতিল মহল্লার রবিউল আলম, জালাল উদ্দিন ও পেড়াবাড়িয়া মহল্লার লিমন নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, তারা ওই লিচু গাছে বিদ্যুতের তার জড়ানো দেখেছেন। গাছটির পাশ দিয়ে শিশুরাসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। গাছে জড়ানো বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যে কোনো সময় প্রাণহানির মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি ভুল করে গাছ মালিকের পরিবারের সদস্যরাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারেন।
তবে এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মালঞ্চি রেল স্টেশনে দায়িত্বরত ওয়েম্যান সানোয়ার কবির।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পুরো লিচু গাছ জুড়ে খোলা তার প্যাঁচানো রয়েছে। পাশের একটি ডালে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড সাঁটানো রয়েছে। আর তাতে লেখা রয়েছে- ‘সাবধান! এই লিচু গাছের আশেপাশে এবং লিচুর গাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া আছে। বি.দ্র. কেউ যদি মারা যায় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ’
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘লিচু গাছে পাহারার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা আইনসিদ্ধ নয়। ’
এদিকে, গাছের মালিক জুয়েলকে না পাওয়ায় তার বড় ভাই জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, লিচু চুরি ঠেকাতে এমন দৃশ্যমান বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এতে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর