সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ছয় শতাংশ-ই ঘটছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায়

Other

দেশের মোট সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ছয় শতাংশ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ঘটায় দ্রুত তা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। যাত্রীরা বলছেন, বিশাল অংকের চাঁদাবাজিকে টিকিয়ে রাখতে অবৈধ বাহনকে টিকিয়ে রাখছে সরকারের একটি মহল। আর পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন চাকার হাল্কা ওজনের দ্রুত গতির  অটোরিকশা যাত্রী ও সড়কের জন্য রীতিমতো মরণফাঁদ।

গেলো শুক্রবার বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত নিয়েছে।

বগুড়ার এমন ছবি মূলত গোটা দেশেরই। যাত্রী কল্যাণ সমিতির সবশেষ হিসাব বলছে, সারাদেশের মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৬.৮৪ শতাংশই ঘটে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইকে।
এমন ভয়াবহ পরিসংখ্যানের কারণে আদালত সারাদেশে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করেছে। অথচ ঢাকার অলি-গলি-সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ায় বিপদজনক এই বাহন।
বিশেষ টোকেনে চলে চাঁদাবাজির রমরমা বাণিজ্য। যাত্রীরা বলছেন, বিকল্প উপায় না পেয়ে অটোরিকশায় চড়তে হয় তাদের।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামশুল হক বলছেন, হাল্কা সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি অটোরিকশায় গতি সংযোজন করায় তা সড়কে চলার জন্য রীতিমত মরণফাঁদ। এছাড়া গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো অভিজ্ঞ চালক দ্বারা এসব বাহন পরিচালিত না হ্ওয়ায় তা যানজট আর দুর্ঘটনার বড় নিয়ামক হিসাবে কাজ করে।

এতে করে প্রতিনিয়ত মৃত্যু আর পুঙ্গত্ব তালিকায় নতুন নতুন নাম যুক্ত হয়ে জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেছেন, এসব বাহন রাস্তায় রাখতে বিশাল সিন্ডিকেট কাজ করে।

অটোরিকশা ঘিরে কোন সিন্ডিকেট নেই দাবি করে পুলিশ বলছে, বাহনটি রাস্তা থেকে সরাতে অভিযান অব্যাহত আছে।