পাঁচ বছর মেয়াদী ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের তিন বছর পার হলেও-এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি কাজ। চীনা ব্যাংকের সঙ্গে ঋণের সুরাহা না হওয়ায় কাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
তারপরও আশা করছেন সব জটিলতা শেষে আগামী মাসে শুরু হবে এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মানকাজ। সেক্ষেত্রে-পেছাবে প্রকল্পের সময়সীমা।
রাজধানীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালে এয়ারপোর্ট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। লক্ষ্য ছিল ২০২২ সালে শেষ হবে নির্মানকাজ। কিন্তু পাঁচ বছর মেয়াদের তিন বছর পার হলেও-নির্মানকাজই শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আর তাই এখনও এমন গ্রাফিক্স অ্যানিমেশনেই সীমাবদ্ধ এই এক্সপ্রেসওয়ে।
তবে আশাব্যঞ্চক হারে এগিয়েছে জমি অধিগ্রহণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১৬৫ একর জমির ৮০ শতাংশই অধিগ্রহণ করা শেষ। যেজন্য এরইমধ্যে ১৭০০ কোটি টাকা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। দু-এক মাসের মধ্যে জমির টাকাও পেয়ে যাবেন মালিকরা।
সাভার ইপিজেড থেকে আশুলিয়া-বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত উড়ালপথে সংযুক্ত হবে ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
সেক্ষেত্রে এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাভার থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক পযন্ত যানজট পুরোপুরি নিরসন হবে বলেই ধারনা দিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে-অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
news24bd.tv নাজিম