চিংড়ি চাষে পরিবেশের ক্ষতি, লবনাক্ততা বৃদ্ধি ও চিংড়ির ঘেরে পানি তুললে বাঁধে ফাটল সৃষ্টি হয়- এমন নানা অজুহাতে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি চাষের পরিধি কমছে। একই সাথে কমেছে চিংড়ির উৎপাদনও। এতে চিংড়ি চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন চাষীরা।
খুলনা জেলা মৎস্য অফিস ও ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ির উৎপাদন হয় দুই লাখ ৫২ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন:
চীনের ১৯ যুদ্ধবিমান ঢুকল তাইওয়ানে
গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বৃদ্ধি
খিলগাঁও ও কেরানীগঞ্জ থেকে ফেনসিডিল-গাঁজা উদ্ধার
বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা অজুহাতে চিংড়ি চাষে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। এ অবস্থা নিরসনে চিংড়ি চাষের অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে।
এদিকে চিংড়িকে ‘কৃষি পণ্য’ বলা হলেও ব্যাংক ঋনের ক্ষেত্রে ‘বানিজ্যিক পণ্য’ বিবেচনায় পাঁচ গুন বেশি সুদ দিতে হয় চাষিদের। দেড় যুগ ধরে ভেনামি চিংড়ি আন্তর্জাতিক বাজার দখল করলেও বাংলাদেশে এখনও পরীক্ষার খাতাতেই রয়ে গেছে।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন ও পাউবো’র অধিকাংশ স্লুইসগেইট নষ্ট থাকায় চিংড়ির ঘেরে পানি প্রবাহ বন্ধ। এতে ঘেরে চিংড়ি চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
সব সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে ভেনামী চিংড়ি, সহজ শর্তে ঋণ, সুদের হার কম ও অবকাঠামো উন্নয়ন করলেই চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব।
news24bd.tv তৌহিদ