সারা দেশে নানা পথেই আসছে, মাদক। বদলাচ্ছে এর ধরনও। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক দমনে কঠোর, তবুও গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে বেড়েছে, এই মরণ নেশার ছোবল। ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের রেকর্ডও।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি বলেন, করোনায় বেড়েছে মাদক প্রবেশ, ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সংখ্যা। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে বলছেন, বেকারত্ব ও সামাজিক অবক্ষয়।
মাদক, যার আসক্তি তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে সব বয়সীদেরই জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। তৈরি করছে সামাজিক অবক্ষয়।
র্যাবের গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ এর চেয়ে বিভিন্ন মাদকসহ ২০২০ সালে ধরা পড়ে, ৭৭০ জনের বেশি, মাদক ব্যবসায়ী। আর ২০২১ সালে প্রথম পাঁচ মাসেই গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায়, আগের বছরের চেয়ে, ১৭ হাজার ১৫৯ জন।
এছাড়া আগের বছরের চেয়ে ২০২০ সালে জব্দকৃত এসব মাদকের বাজার মূল্য, ১২৩ কোটি, ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭ টাকা, বেশি।
অন্যদিকে ২১ সালে মাত্র ৫ মাসে সব রেকর্ড ভাঙে, জব্দকৃত মাদকের বাজার মূল্য, যা আগের সারা বছরের চেয়ে ২শ ০২ কোটি ৩১ লাখ, ৭৭ হাজার ৯৭৭ টাকা, বেশি।
বিজিবি সারা দেশে বিভিন্ন মাদকের মধ্যে ফেনসিডিল ধরে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ১ লাখ, ১৫ হাজার ৮৫২ বোতল বেশি। ২০২১ এর মে মাস পর্যন্ত জব্দ করে ২ লাখ ১৫ হাজা্র ৪২৬ বোতল।
গত তিন বছরের পরিসংখ্যানেও দেখা যায়, জব্দকৃত গাজার পরিমাণ ২০১৯ সালের চেয়ে প্রতিবছর বাড়ছে। আর ইয়াবা ২০২০ সালে আগের বছরের চেয়ে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৬ পিস বেশি ধরা পড়ে। অপর দিকে ২০২১ এ মাত্র ৫ মাসে ধরা পড়ে ৫৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ পিস।
কোস্ট গার্ড ২০১৯ সালে থেকে এ বছর জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে ৭৬ লাখ, ৯৩ হাজার ৭২১ পিস ইয়াবা জব্দ করে। বাহিনীটির অভিযানে ইয়াবা জব্দের সংখ্যাই বেশি।
‘অশান্তিতে আছি’ বলতেই পরীমনিকে যা বললেন কারা কর্মকর্তা
যে সময় দোয়া করলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন সামাজিক অবক্ষয় ও অস্থিরতা বাড়ায়, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি বলেন, সেবনকারী বাড়ার পাশাপাশি করোনায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, অসাধুরাও।
বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো, পুলিশও দেশব্যাপী, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবককারীদের ধরলেও, পাওয়া যায়নি সঠিক পরিসংখ্যান। মাদক দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না এর প্রবেশ।
news24bd.tv নাজিম