সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগাম টানতে যাচ্ছে সরকার। গুজব ও রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণা ও নানাবিধ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এই আইন তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলছেন চলমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও শীঘ্রই আসছে পরিবর্তন। তবে এই আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতাকে খর্ব না করে জনকল্যাণের জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যা এখন বিশ্বের প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন মানুষের প্রতিদিনের রুটিন। ফ্রিজের মত একটু পর পর খুলে দেখতে ইচ্ছে করা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন বিনোদনের, তেমনি সাইবার অপরাধের চারণ ভূমিও বলা চলে।
রাষ্ট্র বিরোধী প্রচার প্রচারনা, গুজব, ধর্মীয় উস্কানি, যৌন হয়রানি কি ঘটছে না এখানে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনের উপর গবেষণা শেষে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর লাগাম টানতে ডেটা প্রাইভেসি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ। গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ডেটা অফিস দেশে প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহিতা ও তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিদেশের মাটিতে থাকা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনাসহ থাকছে আরও কঠোর আইন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলছেন, জনগনের তথ্য সুরক্ষায় দেশের প্রচলিত ডিজটাল নিরাপত্তা আইনেও আসবে সংশোধন।
আরও পড়ুন
মেক্সিকোর পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নিহত ৮
আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে তুরস্ককে প্রয়োজন: তালেবান
বাদশাহ আমানুল্লাহ, আফগানিস্তান, বাচ্চায়ে সকাও এবং সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে
এদিকে, জনগনের বাক স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রেখে এমন আইন করা গেলে দেশের মানুষের সাইবার জগৎ আরো নিরাপদ হবে বলে মনে করেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
অষ্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের যেমন নিজেদের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় নিরাত্তার কথা মাথায় রেখে তথ্যকে সুরক্ষিত করেছে একইভাবে বাংলাদেশও সুরক্ষিত করতে চায় জনগণের তথ্য।
news24bd.tv রিমু