কারও চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, কেউ হাঁটেন খুঁড়িয়ে। কারও রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না. কারও আবার শরীরে সবসময়ই জ্বালাপোড়া। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের জীবন কাটছে এসব শারীরিক যন্ত্রণা নিয়েই। তার ওপরে মানসিক যন্ত্রণা এখনও গ্রেনেড হামলার মদতদাতাদের বিচার হয়নি।
মাত্র দেড় মিনিট। এর মধ্যেই বিষ্ফোরিত হয় ১১টি গ্রেনেড। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১২ জন। পরে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সেই ভয়াবহ স্মৃতি আহতরা বয়ে বেরাচ্ছেন আজও। শরীরে শত শত স্পিণ্টার। মনে হয় সেগুলো সবসময়ই নড়ছে। শরীরের ভেতরে আগুন। শীতেও কারও কারও লাগে না অন্যদের মত শীতবস্ত্র।
আরও পড়ুন
আজ ভয়াবহ ২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলার দিন
আমেরিকায় আটকে পড়া আফগানিস্তানের অর্থ ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান
একটা চোখ নষ্ট হয়েছে। ডান পায়ে নেই স্বাভাবিক জোর। আহত দৌলতুন নাহার বেঁচে থেকেও স্বাভাবিক জীবনে নেই।
সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন হয়ত আর পাবেন না। কিন্তু তাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী সবার বিচার চান আহতরা, প্রত্যক্ষদর্শীরা।
১৭ বছর ধরে আহতরা যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের বিভৎস স্মৃতি মনে করে ঘুমের ঘোরে আজও আঁতকে ওঠেন অনেকে।
news24bd.tv রিমু