১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটির প্রতিবেশীরা দেখেছিলেন রক্ষক কি করে নৃশংস উপায়ে ভক্ষকে পরিণত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কি করে তারই হাতে গড়ে তোলা, তারই সেনারা, বাঙ্গালীর টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে বাঙ্গালীর নেতাকে হত্যা করে । এই ভয়াবহ ইতিহাস বলছিলেন বঙ্গবন্ধুরই প্রতিবেশি বেগম বদরুন্নেসার কন্যা নাসরিন আহমেদ ।
তখন ভোর সাড়ে ৫টা।
প্রতিবেশি নাসরিন আহমেদের ভাষ্যে উঠে আসে সেদিনের সেই ভয়াবহতা। তিনি বেগম বদরুন্নেসা আহমেদের মেয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব আমিনুল হক বাদশার মামাতো বোন।
এসময়ে বুঝতে বাকি রইলো না যে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার এক ভয়ংকর সময় পার করছে। ততোক্ষণে নাসরিন আহমেদের বাড়ির দরজায়তেও বিপদের সাড়। দরজা খোলার পর বাড়ির সবাইকে ধমকের সুরে লাইন ধরে দাঁড়াতে বললো সেনা সদস্যরা ।
সেনা পাহারায় বারান্দার এককোণে জড়ো করে সবাইকে এরই মধ্যে এ বাড়ির পাহারাদারদের সঙ্গে ইশারায় কথা চলতে দেয়া যায়।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার শরিফ দখলে নিয়েছে তালেবান
মমেকের করোনা ইউনিটে আরও ২৫ জনের মৃত্যু
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে দেশপ্রেমের গান উৎসর্গ করলেন মমতা
১৫ আগস্ট: বাঙালির ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন
ভারী হয়ে ওঠা বাতাসে বুঝতে দেরি হয় নি আর বঙ্গবন্ধুর ও তার পুরো পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের কলঙ্কজনক ঘটনা। সেনা পাহারায় থাকে পুরো বাড়ি। বেলা ১১টা নাগাদ বারান্দা থেকে ঘরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় নাসরিন আহমেদের পরিবারক। পরদিন সকালে বাড়ি ত্যাগ করেন ।
বাঙ্গালীর সেই মহা নায়ক ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেদিনের সেই ভয়াবহতা স্বচক্ষে না দেখলেও নির্মম এক ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে পরিবারটি ।
news24bd.tv রিমু