‘বাবুটা মইরা গিয়াও শান্তি পাইল না! মরার অাগেও কষ্ট পাইল, মরার পরও কষ্ট পাইল। বাপ হইয়্যা এমন কষ্ট নিজ চোখেই দেখতে হইল। এত দৌড়াদৌড়ি কইরাও পারলাম না বাবুটারে রক্ষা করতে। এত অনুরোধ করলাম ছেলেটারে না কাটার লাইগ্যা, কিন্তুু তারপরও...!’
কথাগুলো বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোহান নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর বাবা সোহাগ হাওলাদার।
গেল ২৫ এপ্রিল শিশুটির গায়ে গরম ডাল পড়ে। দগ্ধ অবস্থায় তাকে নিয়ে অাসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে টানা ৮ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা উপেক্ষা করে না ফেরার দেশে চলে যায় শিশু সোহান হাওলাদার।
নিয়মানুযায়ী শিশুটির মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের কথা ছিল। কিন্তুু শিশুটির পরিবার রাজি ছিল না ময়নাতদন্তের জন্য। কারণ ময়নাতদন্তে মরদেহের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাটা হয়। তাই তারা ঢামেকের সংশ্লিষ্টদের নিকট শিশুটিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
সংশ্লিষ্টরাও ময়নাতদন্ত ছাড়া শিশুটিকে নিয়ে যেতে পারবে বলে তাদেরকে অাশ্বাস দেন। এ জন্য তাদের এলাকার থানা পুলিশের অনুমতি অানার পরামর্শ দেন স্বজনদের। স্বজনরাও অনুমতির জন্য ছুটে যান থানায়। অনুমতিপত্র অানা পর্যন্ত শিশুটির মরদেহ যেন সুরক্ষিত থাকে এ জন্য শিশুটির মরদেহ রাখা হয় ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গের হিমঘরে।
কিন্তু পুলিশের অনুমতিপত্র এনে যখন হিমঘর থেকে শিশুটির মরদেহ নিতে অাসলো স্বজনরা তখন তারা দেখতে পান শিশুটির মুখের বাম অংশে ও কানের চারপাশে রক্ত ঝরছে। সেখানে কোনো মাংস নেই। পরে তারা বিষয়টি ঢামেকের সংশ্লিষ্টদের জানালে তারা জানায়, হিমঘরে রাখার পর সেখানে ইঁদুর অথবা বেজি মাংসগুলো খেয়ে ফেলেছে।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর