প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কোন পরিপূর্ণ বিচার হয়নি। দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রচলিত আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার হওয়া উচিত।
এই মতামত দিচ্ছেন জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ। যদিও জিয়া হত্যাকাণ্ডের এমন বিচার বিএনপি চায় কিনা এনিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দুইজনই।
১৯৮১ সালের ৩০ মে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেদিন ছিলেন চট্টগ্রামে। তিনি যান সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের কিছু ভুল বুঝাবুঝিল নিরসনে। কিন্তু ভোরে ১১টি সাব মেশিনগান, ৩টি রকেট লাঞ্চার, ৩টি গ্রেনেড ফায়ারিং রাইফেল তাক করা হয় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের দিকে।
সেনাবাহিনীর ১৬ জন অফিসার অংশ নেন জিয়া কিলিং মিশনে। ঐ বছরের জুলাই মাসে মেজর জেনারেল আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ১৮ দিনের একটি বিচারপর্ব শেষে সামরিক আদালতে অভিযুক্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যদন্ড দেয়া হয়। কার্যকর হয় ১২ জনের। বাকিদের দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। তবে পরবর্তিতে মৃত্যদণ্ড পাওয়া একজন ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
সামরিক আদালতের এই বিচারকে, সুষ্ঠু বিচার বলে মনে করেন না জিয়ার অতি ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ।
আরও পড়ুন:
কাকলি ফার্ণিচার ব্যবসা করুক আপত্তি নেই, আমি চিন্তিত অন্য জায়গায় ২০৩৫ সালে আমেরিকা দখল করতে পারবে বলে বিশ্বাস চীনা প্রেসিডেন্টের: বাইডেন |
প্রচলিত আদালতেই বিচার হওয়া উচিত- মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদও।
অবসরে যাওয়া এই দুই সেনা কর্মকর্তাই মনে করেন, দেশবাসীর সামনে সামরিক অভুত্থানের ভালো-মন্দ উপস্থাপনের জন্যই জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত।
news24bd.tv নাজিম