ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এমন কাণ্ডও ঘটে। গুরুর পরামর্শে নিজের ৮ মাসের শিশু সন্তানকে বলি দিলেন মা। দিল্লির অমনবিহারে ঘটেছে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। যা শুনে শিউরে উঠেছেন পুলিশকর্মীরাও।
এদৃশ্য দেখার পর মুর্ছা যাওয়ারই কথা।
প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হত শিখাকে। পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, হাসপাতালে যাওয়ার পাশাপাশি এক তান্ত্রিকের কাছেও যেতেন তিনি। ঘটনার আগের দিন সেই তান্ত্রিকের সঙ্গে দেখা করেই বাড়িতে ফিরেছিলেন শিখা। তারপরেই রাতে এই কাণ্ড ঘটান তিনি। শিশুকে হত্যা করার সঙ্গে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন শিখা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করা হলেও শিখাকে মানসিক রোগী চিহ্নিত করে হাসপাতালে রেখেছে পুলিশ।
পুলিশকে হরিশঙ্কর জানিয়েছেন তাঁদের দুই কন্যাসন্তানও রয়েছে। পরিবারের বাকিদের সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করলেও সন্তানদের দেখলেই হিংসাত্মক আচরণ করত শিখা। সেকারণেই দুই মেয়েকে হরিশঙ্কর তাঁর মায়ের কাছে রেখেছিলেন। ঘটনারদিন রাতে মেয়েদের কাছেই গিয়েছিলেন শঙ্কর। ফিরে এসে দেখেন ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী।
সূত্র: আজকাল
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)