আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ”করোনাকালে নারী নেতৃত্ব; গড়বে সমতার বিশ্ব”। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন হবে। তবে-এখনও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে নারীরা।
এসবের পেছনে বড় বাধা হিসেবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে-নারী পুরুষ উভয়ের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকেও একযোগে কাজ করার তাগিদ মানবাধিকার কর্মীদের।
নারীরা কি জেগেছে, নাকি জাগেনি? তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ছোটবেলা থেকেই বিয়ের বাজারে নারীকে মূল্যবান করে তোলাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে পরিবার। শিক্ষা, চাকুরী কখনও গান, আবৃত্তি বা সাংষ্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণকেও ধরা হয় বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানোর উপাদান হিসেবে।
পশ্চিমবঙ্গের কাছে পর্যাপ্ত পানি থাকবে তখন তিস্তা চুক্তি: মমতা
যে দোয়া পড়লে বিশ্ব নবীর সঙ্গে জান্নাতে যাওয়া যাবে!
খুলনায় সওজ কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি, ক্ষোভ
৭ই মার্চের অনুষ্ঠান থেকে বেড়িয়ে গেলেন অথিতিরা
নারীরা তাই এত এগিয়েও কোথায় যেন পিছিয়ে। ব্রাকের হিসেবে, দেশের ৭৭ শতাংশ নারী পরিবারেই নির্যাতনের শিকার। ৮০ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত, বলছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পরিবারে, শেষমেষ পুরুষের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাচ্ছে।
রাজনীতিতে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের নারী। ২০০৮ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী-২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান ছিল। কিন্তু ১২ বছরেও কোন দলই এই শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৬ শতাংশ, বিএনপিতে ১৫ শতাংশ এবং জাতীয় পার্টি কমিটি গুলোতে নারীর অংশগ্রহন ২০ শতাংশ। বাকী দলগুলোতে আরো কম নারী নেতৃত্ব।
জাতিসংঘ বলছে , বাংলাদেশে এখনও অর্ধকের বেশি মেয়ের বাল্য বিবাহ হয়। উচ্চ শিক্ষায় নারীরা পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি, সরকারি চাকুরীক্ষেত্রে নারীর পদচারণা ৩০ শতাংশের কম। তাই সমতার বিশ্ব গড়তে সময় লাগবে আরও।
news24bd.tv/আয়শা