ভোগবাদের বদলে ছাত্ররাজনীতিতে আদর্শবাদের চর্চা বাড়াতে হবে - এমন বিশ্লেষণ দিয়েছেন, ডাকসু’র সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান। তিনি মনে করেন, ডাকসু নেতৃবৃন্দকে জাতীয় ইস্যুতে যুক্ত না হয়ে, ছাত্রদের অধিকার আদায় এবং কর্মমুখী শিক্ষার আন্দোলন করতে হবে।
আখতারউজ্জামান। ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য নাম।
ডাকসু’র এই সাবেক ভিপি আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনার যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে একদিকে যেমন চেতনাতে ধারণ করতে হবে। অন্যদিকে উন্নয়নের মধ্যে সমতা আনতে হবে, সততা আনতে হবে, দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স আনতে হবে ছাত্রনেতাদের।
ছাত্র রাজনীতি বিশেষ করে ডাকসু নেতারা এখন, জাতীয় রাজনীতির সমালোচনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত, তার বদলে, ডাকসু’র উচিত, কর্মমুখী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় হওয়া - এমন মূল্যায়ন আখতারউজ্জামানের।
আরও পড়ুন:
প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাব দৃশ্যমান
তিন ভ্যেনুতে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
দক্ষিণ কোরিয়ার নাবিকদের ইরান ত্যাগের অনুমতি
নাতাঞ্জ ও ফোরদু পরমাণু স্থাপনায় স্থাপিত হয়েছে নতুন সেন্ট্রিফিউজ
তিনি বলছেন, এখন যেহেতু স্বাধীনতা বা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে না। তাই এখন ডাকসুর কাজ শিক্ষা ও চাকুরী নিয়ে হওয়া উচিত। শিক্ষা কাঠামো বদলে চাকরির জন্য নিজেদের তৈরি করা।
তার কাছে প্রশ্ন ছিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে। উত্তরে তিনি বলেন, পেশার নৈতিকতা বিলীন হলে, পেশাজীবীরাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
আখতারউজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বই সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করবে, র্যাকিংয়ে এগিয়ে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করবে এটাই শিক্ষকদের কাছে চাওয়া।
পাশাপাশি আখতারউজ্জামান বলেন, দুর্নীতির লাগাম টানা জরুরী।
news24bd.tv আহমেদ