বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চাই যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চাই যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন

Other

ঢাকার বর্জ্যের ৭০ থেকেই ৭৫ ভাগ জৈব বর্জ্য। আর বাকী ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই পূনরায় ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু বর্জ্য সংগ্রহ এবং ব্যবস্থপনায় ঘাটতির কারনে রাজধানীর বিশাল বর্জ্যের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। গবেষকরা বলছেন-বাসাবাড়ি থেকেই আলাদা আলাদা ভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করা গেলে তা থেকে প্লাস্টিক, কাগজ এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

সিটি কর্পোরেশন বলছে ২০২২-২৩ সাল নাগাদ এমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কাজ চলছে।  

এভাবেই রাজধানীর প্রত্যেক বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা আসে সিটি কর্পোরেশনের সেকেন্ডারি টান্সফার স্টেশনে। সকাল থেকেই শুরু হয় এই বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য আনার কার্যক্রম।  

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এক গাড়িতেই নিয়ে আসে সব ধরনের বর্জ্য।

যে কারনে পচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বর্জ্যের গুনাগুন।   

কাগজ, প্লাস্টিক, বাসাবাড়ি কিংবা হোটেলের অব্যবহৃত খাবার, পলিথিন, ফোম সব বর্জ্যই পাওয়া যাবে এসব বর্জ্য ব্যবস্থপনা কেন্দ্রে। ভাল করে খুজলে এখানে মিলবে মেডিকেল বর্জ্যও।


শনিবার ঢাকার যেসব বন্ধ

মেসিকে বিক্রি না করে বার্সা ভুল করেছে : রিভালদো

ঘুম থেকে উঠে যে দোয়া পড়তে হয়

ঋণ থেকে মুক্তি পেতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন


গবেষনা বলছে-ঢাকার দুই সিটিতে গড়ে প্রতিদিন ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। আর ফলের মৌসুমে এই বর্জ্যের উৎপাদন বেড়ে দাড়ায় প্রতিদিন ৮ হাজার টনে। যে বর্জ্যের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগই জৈব। বাকী ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পূর্ণব্যবহারযোগ্য। কিন্তু সব বর্জ্য একসাথে সংগ্রহ করায় নষ্ট হচ্ছে বর্জ্যের বিশাল সম্ভাবনা।

বুয়েটের গবেষকরা বলছেন-বর্জ্যের গুনাগুন ঠিক রাখতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দরকার।
      
দিনে দিনে ঢাকার দুই সিটিতে বর্জ্য বাড়তে থাকলেও ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এখনও কাগজে কলমে। উত্তর সিটির এই কর্মকর্তা বলছেন-রাজধানীর আমিনবাজারে ১৮ একর জমির ওপর তৈরী হবে তাদের আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র। যেখানে ২০২৩ সাল নাগাদ বর্জ্য থেকে হবে বিদ্যুত।

প্রায় দুই কোটি মানুষের বসতি রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আসলেই বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও বর্জ্যের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দরকার যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন। তবেই বর্জ্যের ভাগাড় থেকে মুক্ত হবে ঢাকাবাসী।

news24bd.tv/আয়শা