দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্লেষকরা। ফলে, চুনোপুটিরা শাস্তি পেলেও পৃষ্ঠপোষকরা থাকে অধরা। আর এটিকেই দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবনতির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ধারণা সূচকে আগের ১৪তম অবস্থান থেকে এখন নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ তম।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ১২ তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। দুর্নীতির ধারণা সূচকে, ২০২০-এ বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে পেয়েছে ২৬।
সাড়ে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু ও শনাক্ত
মাহবুব তালুকদারকে পদত্যাগ করতে বললেন ডা. জাফরুল্লাহ
অ্যাপেন্ডিক্সে হলে বুঝবেন যেভাবে
দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে, শুধু যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে, নিচের দিক বাংলাদেশ চতুর্থ। আগের বছরও একই অবস্থানে ছিল। এ বছরে কোনো অগ্রগতি হয়নি বাংলাদেশের। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের শুন্য সহিষ্ণুতা নীতির বাস্তবায়ন নেই মাঠ পর্যায়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে, স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটা এবং বিদেশে অর্থপাচার দুর্নীতির মাত্রা আরো বাড়িয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৮টি দেশে অর্থ পাচার হয়েছে। আর অর্থপাচারের নতুন গন্তব্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনাশিয়াল ইন্ট্রিগিটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে বছরে ৬৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতির লাগাম টানার সুযোগ এখনো আছে।
সর্বোচ্চ পর্যায়ের জিরো টলারেন্স নীতি যদি, মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা না যায়, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে, সফলতা আসবে না, বলছেন, বিশ্লেষকরা।
news24bd.tv নাজিম