অবশেষে সত্যি হচ্ছে স্বপ্ন। আগামী এপ্রিল মাসেই চালু হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। বাকী মাত্র আড়াই মাস। তবে, এখনই যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, এই সময়ের মধ্যে জাপান থেকে ট্রেন নিয়ে আসাসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করতে চলছে কর্মযজ্ঞ। তবে-সময়মত ট্রায়াল রান করতে করোনা কাটিয়ে সুদিন ফেরা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মেট্রোরেলের দক্ষিণ স্টেশন।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু করতে ভায়াডাক্টের ওপর পুরোপুরি প্রস্তুত করা হচ্ছে রেলওয়ে ট্র্যাক। পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে রেলওয়ে ট্র্যাকের উচ্চতা-প্রশস্ততা। দেশি-বিদেশি শ্রমিকদের তত্বাবধানে দিনরাত চলছে এমন কর্মযজ্ঞ।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, আমাদের লক্ষ্য আগামি এপ্রিলের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের লক্ষ্য নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। যদি এই সময়ের মধ্যে ট্রেন না আসে তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পর লোকালয়ে কাছ থেকে বাঘের দেখা
জাপানে এরইমধ্যে প্রস্তুত এরকম পাঁচ সেট লাল সবুজ মেট্রোরেল। ছয়টি করে বগি সম্বলিত এসব ট্রেন বাংলাদেশে আসা শুরু হওয়ার কথা ছিল জানুয়ারী মাস থেকেই। কিন্তু করোনা বাস্তবতায় জাপান সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আপাতত এই মাসে আসছে না কোন ট্রেন।
এম এ এন সিদ্দিক আরও বলেন, জাপান সরকার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সে দেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যদি এই নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ে তাহলে থার্ড পার্টির মাধ্যমে ট্রেন নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
আর গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলছেন, করোনার কারণে যদি জাপান থেকে ট্রেন না আসে। বা বিকল্প পরিকল্পনা হিসেব থার্ড পার্টি থেকেও যদি ট্রেন সংগ্রহ করতে না পারি তাহলে পরীক্ষামূলক মেট্রোরেল চালু নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ট্রেন কবে আসবে নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও-পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালুর ব্যাপারে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
news24bd.tv আহমেদ